| Hanif Khan
বিলের পানিতে ভাসছে সাদা চাঁদমালা ফুল। এই ফুলের ফাঁকে ফাঁকে ভাসছে বিলের অতিথি পাখি পাতি সরালি। মাঝেমধ্যে এ পাখি ডানা মেলে আকাশে উড়াল দিচ্ছে। বগুড়ার শেরপুর উপজেলা শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পূর্ব দিকে খামারকান্দি ইউনিয়নের গরফার বিলে দেখা মিলবে এমন দৃশ্যের।
বিলটির বাঁ পাশে শেরপুর-ঝাঁজর সড়ক। এ সড়কের বাঁ পাশে আরেকটি বিল। নাম বড়বিলা। ডানে খামারকান্দি গ্রাম। কিছু দূরে পারভবানীপুর বাজার। বিলটি বর্ষা মৌসুমে আকারে প্রায় ২৫ বিঘা দাঁড়ায়। তবে গ্রীষ্ম মৌসুমে আকার অর্ধেকেরও কম হয়। পানির গভীরতা তখন তিন থেকে পাঁচ ফুটের মধ্যে থাকে।
কৃষক খোরশেদ প্রামাণিক জানান, বিলের পাশে তাঁদের চাষের জমি। জমি পরিচর্যার জন্য তাঁদের নিয়মিত আসতে হয়। এ সময় বিলের পাখির ডাকাডাকিতে মন ভরে যায়। যাঁরা বিলের পাশ দিয়ে যাতায়াত করেন, তাঁরা একটু সময়ের জন্য হলেও পাখির ডাক শুনতে বিলের সামনে দাঁড়িয়ে যান। মাঝেমধ্যে পাখি শিকার করতে আসা অপরিচিত ব্যক্তিদের বিলের আশপাশে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দেখলে বাধা দেন।
পরিবেশ প্রতিরক্ষা সংস্থার সভাপতি সোহাগ রায় বলেন, ‘আমাদের দেশেরই পাখি এই পাতি সরালি। দুই বছর ধরে এই পাখি প্রজননের সময় এ বিলে এসে থাকে। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পাখিগুলোর প্রজননের সময়। স্ত্রী পাখি একসঙ্গে ৭ থেকে ১২টি ডিম দেয়। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে ২২ থেকে ২৪ দিন সময় লাগে। এগুলোর প্রধান খাবার পানিতে থাকা জলজ উদ্ভিদ, নতুন কুঁড়ি, শস্যদানা, ছোট মাছ, ব্যাঙ, শামুক ও কেঁচো ইত্যাদি। এ পাখির মাথা, গলা ও বুক বাদামি, পা কালো আর ঠোঁট ধূসর-কালচে রঙের। পিঠে হালকা বাদামির ওপর নকশা আঁকা এবং লেজের তলা সাদা। বিলের পাখিগুলোকে শিকারিদের হাত থেকে রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাউকে দেখা যায় না। এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগী হওয়া দরকার।’
সূত্র: প্রথম আলো প্রতিনিধি, শেরপুর, বগুড়া।
Peoples News
© 2020 - samatalbd.com প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | Design samatalbd