| Hanif Khan
চট্টগ্রামের প্রখ্যাত কওমি মাদরাসা জামেয়া দারুল মা’আরিফে আগামী জানুয়ারিতে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগে ডিপ্লোমা কোর্স চালু হতে যাচ্ছে। সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিষয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা যাতে পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারে সে উদ্দেশ্যে এই কোর্স চালু করা হচ্ছে। এ কোর্সের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল্লামা সুলতান যওক নদভী। দেশ-বিদেশের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিষয়ে অনার্স পর্যায়ের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ভিত্তিতে এ কোর্সের পাঠ্যক্রম সাজানো হয়েছে। সেখানে এই লেখকসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের দু’জন সহযোগী অধ্যাপক অতিথি শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নেবেন। ইতোমধ্যে এ কোর্স নিয়ে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। বোঝা গেছে, এরকম একটি একাডেমিক কোর্সের প্রয়োজনীয়তা তারা মনেপ্রাণে অনুভব করেন। এমন অভিযোগ আছে যে, একশ্রেণীর মিডিয়ায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আলেম-ওলামা ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নেতিবাচকরূপে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়, যাতে সমাজে তাদের প্রতি বিদ্বেষ ও ঘৃণার মনস্তত্ত্ব তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে কিছু মিডিয়ার বর্ণবাদী আচরণ লক্ষণীয়। যেখানে মিডিয়া থাকার কথা রাজনীতি ও পক্ষপাতমুক্ত, সেখানে কিছু মিডিয়ার ইসলামোফোবিক আচরণ দুঃখজনক। এর সরাসরি শিকার হন আলেম-ওলামা ও মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। সে কারণে আমরা মাঝে মধ্যে দেখি, আলেম-ওলামা ও মাদরাসা শিক্ষার্থীরা কোনো সংবাদ বা প্রতিবেদন তাদের জন্য কিংবা ইসলামের দৃষ্টিতে খুব আপত্তিকর মনে করলে সংশ্লিষ্ট পত্রিকা বা টিভি চ্যানেল বর্জনের ডাক দেন। এমনকি কখনো কখনো রাস্তায় পত্রিকা পুড়িয়েও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেন। অথচ এ কথা অনস্বীকার্য যে, যদি তাদের নিজস্ব একটি মানসম্মত মূলধারার মিডিয়া থাকত, তা হলে তারা ‘প্রতি-সাংবাদিকতা’র (Adversarial Journalism) মাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতাকে আরো ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারতেন। কিন্তু মানসম্মত একটি প্রিন্ট বা ব্রডকাস্ট মিডিয়া প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করতে হলে দক্ষ জনবলের প্রয়োজন রয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার জন্য সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও পেশাগত প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। যা হোক, ইসলাম ও মুসলিম প্রশ্নে বর্ণবাদী আচরণ আন্তর্জাতিক মিডিয়া তথা পাশ্চাত্য মিডিয়াতে আমরা হরহামেশা দেখতে পাই। যেমন আমরা প্রায়ই দেখি, সাধারণত কোনো হামলাকারী যদি খ্রিষ্টান বা অমুসলিম হয়, পাশ্চাত্য মিডিয়া তাকে বড়জোর ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বা ‘বিকৃতমস্তিষ্ক’ হিসেবে তুলে ধরে। পক্ষান্তরে, হামলাকারী যদি মুসলিম হয়, তখন তাকে ‘সন্ত্রাসী’ বা ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে ওয়ার অন টেররের বয়ান হাজির করে পাশ্চাত্য মিডিয়া। এমনকি মুসলমানরা আক্রান্ত হলে যতটা না সেটার মিডিয়া কাভারেজ হয়, মুসলিম নামের কেউ আক্রমণকারী হলে মিডিয়ার ফোকাস আরো বেশি হতে দেখা যায়। এ বিষয়ে আলজাজিরার জনপ্রিয় কলাম লেখক ড. খালেদ বেদোনের একটি চমৎকার উক্তি উল্লেখযোগ্য- ‘Muslim identity is only relevant and indeed newsworthy- when the subject is standing behind the gun. Not in front of it.’ সুতরাং বলাবাহুল্য, ইসলাম ও মুসলিম প্রশ্নে পরিচয়ের রাজনীতি থেকেও আন্তর্জাতিক মিডিয়া মুক্ত নয়। এ ছাড়া কোল্ড ওয়্যারের সময় আমেরিকা ও ইউরোপের কমন শত্রু ছিল কমিউনিজম; কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনপূর্বক নাইন-ইলেভেনের পর তাদের সেই কমন শত্রু হয়ে দাঁড়ায় ইসলাম। এই কমন শত্রুর জুজু দেখিয়ে কথিত ওয়ার অন টেররের নামে আফগানিস্তান ও ইরাকে আমেরিকার আগ্রাসন এবং টনে টনে বোমা ফেলে মিলিয়ন মিলিয়ন নিরীহ মুসলমানের হত্যাকে জায়েজ করার চেষ্টা করেছে পাশ্চাত্য মিডিয়া- যা বিশ্বব্যাপী ইসলামবিদ্বেষ ছড়িয়ে দিতে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে। এরই বিরূপ প্রভাব আমাদের দেশীয় কিছু মিডিয়ার অ্যাজেন্ডা সেটিংয়েও পড়েছে বললে ভুল বলা হবে না। কারণ বিভিন্ন সময় তাদের ইসলাম, আলেম-ওলামা ও মাদরাসাসংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশনে ‘ইসলামবিদ্বেষ’ লক্ষণীয় হওয়ায় পাঠক ও দর্শক মহলে তাদের নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতা যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ। ২০১৯ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ‘ইসলামবিদ্বেষ ঠেকাতে’ বিবিসির মতো একটি আন্তর্জাতিক মানের টিভি চ্যানেল করার ব্যাপারে একমত হন। এ উদ্যোগ সম্পর্কে তুরস্কের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর ফাহরেত্তিন আলতুন বলেছিলেন- ‘A joint TV project between Turkey, Pakistan and Malaysia will be aimed at fighting anti-Muslim sentiment. Both traditional and social media play a serious role in the negative perception of Muslims, especially in the Western media outlets. Because of the sensitivity and importance of the issue, we independently think that an initiative focused on fighting Islamophobia is needed. Anti-Islamic manipulations and hateful stereotypes aimed at Muslims must also be fought in the sphere of media as well’ (4 Oct. 2019, TRT WORLD). বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারণে এ ত্রিদেশীয় উদ্যোগটি পিছিয়ে গেলেও আলতুনের বক্তব্যে এটি বোঝা যায়, বিশ্বব্যাপী ইসলামবিদ্বেষ মোকাবেলায় এমন একটি যৌথ আন্তর্জাতিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব আসলে কতটা। একইভাবে আমাদের দেশেও একশ্রেণীর মিডিয়ার ইসলামবিদ্বেষী প্রপাগান্ডার বিপরীতে ইসলামের মহত্ত্ব ও বিশ্ববীক্ষা তুলে ধরতে ইসলামী মিডিয়া গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে ইসলামী সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ ও চর্চা জরুরি। তা হলে প্রশ্ন আসে, ইসলামী সাংবাদিকতার স্বরূপটা কেমন? তার আগে আমাদের বুঝতে হবে- এ সময়ে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের মানদণ্ড ও মূল্যবোধ কিসের ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে আছে। আধুনিককালে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম এক দিকে পাশ্চাত্যের সেকুলার দর্শন ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে বিকাশ লাভ করেছে, আরেক দিকে করপোরেট পুঁজিবাদের খপ্পরে পড়ে ধীরে ধীরে মিডিয়া মোড়লদের অবাধ মুনাফা ভোগের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। ফলে সংবাদ আজ এমন একটি বাজারি পণ্যে পর্যবসিত হয়েছে, যার বিক্রয়মূল্য (sales value) হয়ে উঠেছে মুখ্য এবং সেই সাথে সাংবাদিকতার নীতিমালা (code of ethics) হয়ে পড়েছে গৌণ। সমকালীন গণমাধ্যম চর্চার ব্যাপারে আমেরিকার ওয়েস্টার্ন ইলিনোইস ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগের অধ্যাপক ড. এম এ সিদ্দিকী তার এক গবেষণামূলক প্রবন্ধে যথার্থই লিখেছেন, ‘Both news and entertainment convey, reinforce, and are based on certain beliefs and value system. The epistemological and the ethical foundations of contemporary mass media practices are deeply rooted in the western ideologies and philosophies. The major motive behind all mass media structures, practices and processes is based on sales values and governed by the market mechanism. Media code of ethics and watchdog journalism are ignored by the media practitioners because they hinder the pursuit of private good.’ এ ছাড়া চমস্কি ও হারম্যান আশির দশকে বিশেষত আমেরিকার গণমাধ্যমগুলোকে ভিত্তি করে তথ্য-বিশ্লেষণসহ দেখিয়েছেন যে, আমেরিকায় প্রায় ২৪টি মিডিয়া মোগল রয়েছে যারা দেশটির শীর্ষ মিডিয়াগুলো নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তারা এই মিডিয়া-নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠীগুলোকে ‘বৃহৎ মুনাফাখোর করপোরেশন’ এবং ‘ধনীদের নিয়ন্ত্রণ ও মালিকানাধীন’ বলে সাব্যস্ত করেছেন। এ ছাড়া তারা তাদের প্রপাগান্ডা মডেলে গণমাধ্যমের পাঁচটি ছাঁকনির কথা উল্লেখ করেছেন যার মধ্যে একটি হলো মিডিয়ার মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ কুক্ষিগতকরণ (media consolidation)। সাধারণ মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের বাইরে বিভিন্ন ব্যবসায়িক গ্রুপ ও করপোরেশনগুলো আজ মিডিয়া শিল্পে তাদের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছে। মিডিয়া শিল্পও ধীরে ধীরে পুঁজিবাদী বাজারব্যবস্থায় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে দিন দিন গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা, নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতা হ্রাস পাচ্ছে এবং সেসব পুঁজিবাদী করপোরেশনের ব্যবসা ও মুনাফার হিসাব-নিকাশের কাছে সংবাদপ্রবাহ ও সাংবাদিকতা জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ সুযোগে চেতনে-অবচেতনে রাজনীতি ও পক্ষপাতিত্ব গেঁড়ে বসেছে মিডিয়া মহলে। তাই আজ সচরাচর করপোরেট মিডিয়ার সংবাদ উপস্থাপনে সত্য ও বাস্তবতা খণ্ডিতভাবে ধরা পড়ে। সাংবাদিকতার কোড অব এথিক্স উপেক্ষিত হওয়ার সমান্তরালে মিডিয়ার পক্ষপাত ও লেজুড়বৃত্তি বেশ লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। বিশ্বখ্যাত বুদ্ধিজীবী এডওয়ার্ড সাইদও কিছু মিডিয়াকে ‘মুনাফাভোগী করপোরেশন’ আখ্যা দিয়ে তার ‘কাভারিং ইসলাম’ বইয়ে লিখেছেন- ‘It ought to go without saying that the media are profit-seeking corporations and therefore, quite understandably, have an interest in promoting some images of reality rather than others. They do so within a political context made active and effective by an unconscious ideology, which the media disseminate without serious reservations or opposition.’ (Page : 49, Vintage Edition). এখানে সাঈদের কথায় স্পষ্ট যে, করপোরেট মিডিয়া তাদের মুনাফার স্বার্থের জায়গা থেকে বাস্তবতার কিছু দৃশ্য তুলে ধরতে গিয়ে বাস্তবতার অন্যান্য দৃশ্যও চাপা দিয়ে দেয়। আর সেটা তারা করে তাদের প্রচ্ছন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের পাটাতনে, কোনো উল্লেখযোগ্য বিচার-বিবেচনা ছাড়াই। তাই এটি বলা অসঙ্গত হবে না যে, আজকে মুনাফার লালসার কাছে করপোরেট মিডিয়া তাদের কোড অব এথিক্স জলাঞ্জলি দিয়েছে। সুতরাং সাংবাদিকতার সর্বজনীন কোড অব এথিক্স পুনরুদ্ধার করতে হলে করপোরেট মিডিয়ার আধিপত্যের বিপরীতে বিকল্প গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার চর্চা করা এখন সময়ের দাবি। এ ছাড়া সাম্রাজ্যবাদ ও কর্তৃত্ববাদের দাসত্ব এবং পুঁজির গোলকায়ন-বৃত্তের জাল থেকে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতাকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে ইসলামী সাংবাদিকতা অন্যতম উপায় হতে পারে। ইসলামী বিশ্ববীক্ষার (Islamic Worldview) মধ্যেই ইসলামী সাংবাদিকতার মূলনীতি নিহিত রয়েছে। ইসলামী সাংবাদিকতার রূপকাঠামো এবং এর কোড অব এথিক্স নিয়ে অ্যাকাডেমিক পরিসরে এখনো ঢের গবেষণা ও আলোচনা চলছে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত টেইলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপের ‘জার্নালিজম স্টাডিজ’ নামক জার্নালে ‘জার্নালিজম অ্যান্ড দ্যা ইসলামিক ওয়ার্ল্ডভিউ’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধে ইসলামী সাংবাদিকতার স্বরূপ তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সাংবাদিকতার ব্যাপারে ইসলামের মূলনীতি অর্থবহভাবে পাওয়া যেতে পারে ইসলামী বিশ্ববীক্ষার প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে। সেসব উৎস হলো কুরআন-সুন্নাহ, মুসলিম ঐতিহ্য, মানবীয় ঐতিহ্য, যুক্তি ও অভিজ্ঞতা। কুরআন বলে, ‘তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিও না এবং জেনেশুনে সত্য গোপন কোরো না’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ৪২)। সাংবাদিকতার নীতিমালা চর্চায় কুরআনের এই নির্দেশনাকে বাস্তবিকভাবেই আত্তীকরণ ও লালন করতে হবে। কুরআন আরো বলে, ‘হে বিশ্বাসীরা, কোনো দুষ্ট লোক যদি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তা হলে সেটি যাচাই করো। কারণ অজ্ঞতাবশত আবার না জানি তোমরা কারো ক্ষতি করে বসো এবং পরে সে কারণে লজ্জিত হয়ে পড়ো’ (সূরা হুজরাত, আয়াত : ৪৯)। সংবাদ পরিবেশনের আগে যাচাই-বাছাই এবং সেটির সত্যতা নিশ্চিত করা সাংবাদিকদের একটি অবশ্যপালনীয় কর্তব্য। সুতরাং বলাবাহুল্য, সাংবাদিকতার মূলনীতি সরাসরি কুরআনেই পাওয়া যায়। এ ছাড়া একই প্রবন্ধে সাংবাদিকদের ‘পরিবর্তনের কারিগর’ (agent of change) বলা হয়েছে। কারণ তারা যাবতীয় অনিয়ম ও অনাচার তুলে ধরে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে অসামান্য ভূমিকা রাখে। আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সমাজ ও জনকল্যাণ সাধনে ইসলামের আহ্বান চিরন্তন। ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় এবং অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্সের যৌথ উদ্যোগে জাকার্তায় মুসলিম সাংবাদিকদের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে একটি চুক্তিসহ ঘোষিত Islamic Mass Media Charter-এ বলা হয়েছিল, ‘মুসলিম সাংবাদিকরা ইসলামী মূল্যবোধ ও নীতিমালার প্রতি তাদের বিশ্বাস অটুট রাখবে এবং ইসলামী আচরণবিধি বজায় রেখে প্রকৃত সত্য তুলে ধরার চেষ্টা করবে। তারা মুসলমানদের অধিকার, স্বাধীনতা ও করণীয়গুলোর ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করবে এবং ইসলামবিরোধী তৎপরতা রোধে অতন্দ্রপ্রহরীর ভূমিকা পালন করবে।’ সুতরাং স্বতন্ত্রভাবে ইসলামী সাংবাদিকতার চর্চা ও ইসলামী মিডিয়া প্রতিষ্ঠার জন্য দায়িত্বশীল ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামপন্থীদের আরো এগিয়ে আসা জরুরি।
লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক Email: tareqislampt@gmail.com
নয়া দিগন্ত অনলাইনের সৌজন্যে।
Peoples News
© 2020 - samatalbd.com প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | Design samatalbd