| Hanif Khan
ইউরোপের দেশ আলবেনিয়ায় নাগরিকত্ব প্রদানের শর্তে বিভিন্ন পদে চাকরিতে লোক নিয়োগ করা হবে। বাংলাদেশ হতেও বিভিন্ন পদে লোক নেওয়া হবে।
আকর্ষণীয় বেতনে যেসব পদে জরুরী নিয়োগ হবে:
১) গার্মেন্টস সুইং মেশিন অপারেটর (নিট গার্মেন্টস)
২) লিফট – এসকেলেটর টেকনিশিয়ান / মেকানিক
৩) রেস্টুরেন্টের বারম্যান
৪) ট্রাকের ইঞ্জিন ঠিক করার মেকানিক
৫) কৃষক (আংগুরের বাগানের কাজ এবং ফল তোলা)
৬) CNC লেদ মেশিন অপারেটর
৭) ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইলেকট্রিশিয়ান
৮) ওয়েল্ডার. MIG. TIG. ARC.
৯) হেভী ড্রাইভার
১০) কার্পেন্টার।
সবগুলো ক্যাটাগরিতে টিকেট, ম্যানপাওয়ার, ভিসা স্টেম্পিং এবং এয়ারপোর্টের খরচ যাত্রী নিজে বহন করে যেতে পারবেন।
আলবেনিয়াতে রেসিডেন্সি পারমিট এবং ভবিষ্যতে ইউরোপের যে কোনো দেশে বৈধভাবে নাগরিকত্ব পেতে যোগ্য এবং আগ্রহী প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। অন্যথায় আবেদন করার কোনো প্রয়োজন নেই। টেকনিশিয়ানদের নিজের নাম পরিচয় দিয়ে কয়েকটি কাজের ভিডিও দিতে হবে। ইন্টারভিউতে সিলেকশন হওয়ার পরেই এবং ফিট কার্ড এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জমা দেয়ার পরে +/- ২ মাসের মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাবেন। আলবেনিয়াতে আসার কিছু দিন পরে স্পাউস ভিসায় পুরো পরিবার নিয়ে আসার, স্বামী/স্ত্রী ফুলটাইম কাজ করার, ১৮ বছরের নিচের সবগুলো সন্তানের সরকারি স্কুল কলেজে ফ্রী লেখা পড়া করার এবং এক বছর পরে কাজ পরিবর্তন করার এবং পাঁচ/ছয় বছর পরে PR এবং ইউরোপিয়ান নাগরিকত্বের সুযোগ রয়েছে। তারপরে ইউরোপের অন্যান্য দেশে এবং আমেরিকা, কানাডা সহ আরও অন্যান্য দেশে সহজ ভিসায় যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আলবেনিয়াতে প্রত্যেক যাত্রীকে বাধ্যতামূলক ভাবে কমপক্ষে পনের (১৫) মাস কাজ করার গ্যারান্টি দিতে হবে। যাতে কাজ থেকে পালিয়ে না যায় সেই জন্য এলাকার একজন গণ্যমান্য ব্যাক্তির উপস্তিতিতে তার স্বাক্ষীসহ এবং পরিবারের শুধুমাত্র বাবা, অথবা ভাইয়ের নামের চালু একাউন্টের ৩০০ টাকার জুডিশিয়াল স্ট্যম্পে ১০ লাখ টাকার চেক গ্যারান্টি দিতে হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে দুই বছর। সিভি (MS Word Format), শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, স্কিল টেস্টের সার্টিফিকেট, পাসপোর্টের ডাটা কপি, পুরাতন ভিসার স্টিকার (যদি থাকে), NID বা জন্ম সনদপত্র, পাসপোর্টের ডাটা কপির ছবির সাথে মিল রেখে (দাড়ি সহ বা দাড়ি ছাড়া) সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙ্গিন ছবি (সফট কপি 35x45mm high resolution) কম্পিউটার থেকে স্ক্যান করে ইমেইল করতে হবে।
আল রেজা এইচ আর কনসালটেন্ট জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশে কাজ করছে।
বিস্তারিত জানতে কথা বলতে পারেন ০১৭৩০৮৯০০০০ এই নম্বরে।
জানুন আলবেনিয়া সম্পর্কে:
জানুয়ারী ২০১০-এর উপাত্ত অনুযায়ী আলবেনিয়ার জনসংখ্যা ৩১,৯৫,০০০। বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ০.৫৪৬%। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনবসতির ঘনত্ব ১১১ জন।মাত্র ৩৫ লক্ষ লোকের দেশ আলবেনিয়ায় শতকরা ৯৫% শতাংশ লোক আলবেনীয় ভাষার কোন উপভাষায় (তোস্ক বা ঘেগ) কথা বলে থাকে। আলবেনীয়ার বাকী জনগণ সবচেয়ে বেশি যে ভাষায় কথা বলে, তা হল গ্রিক। এছাড়া ম্যাসিডোনীয় ভাষা ও সার্বো-ক্রোটীয় ভাষাতেও স্বল্পসংখ্যক লোক কথা বলেন। যাদের মাতৃভাষা আলবেনীয়, তারা মূলত দুইটি উপভাষার একটিতে কথা বলেন। এগুলি হল উত্তরের ঘেগ আলবেনীয় এবং দক্ষিণের তোস্ক আলবেনীয়। তোস্ক আলবেনীয় উপভাষা উপর ভিত্তি করে আদর্শ আলবেনীয় ভাষা গঠিত হয়েছে। আলবেনিয়ার বাইরে ম্যাসিডোনিয়া ও কসোভোতেও আলবেনীয় ভাষার প্রচলন আছে। ১৯৯০-এর দশকে যুগোস্লাভিয়ার যুদ্ধের সময় প্রায় ৫ লক্ষ আলবেনীয়ভাষী কসোভোবাসী আলবেনিয়াতে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় নেন। আলবেনিয়ার গণমাধ্যমের ভাষা আলবেনীয়। তবে রেডিও তিরানা আটটি ভাষায় প্রোগ্রাম সম্প্রচার করে। এছাড়া অনেক আলবেনীয় স্যাটেলাইটের সাহায্যে ইতালীয় ও গ্রিক টিভির অণুষ্ঠান দেখে থাকেন।
আলবেনিয়ার ভাষা
আলবেনিয়ার সরকারি ভাষা আলবেনীয় ভাষা। গেগ ও তোস্কের মিলিত রূপই হচ্ছে আলবেনীয় ভাষা। এখানে সংখ্যালঘু গ্রিকদের ভাষাও বেশ প্রচলিত। এর পাশাপাশি সার্বিয়ান, মেসিডোনিয়ান, রোমানি এবং অ্যারোমেনিয়ান ভাষা দেশটিতে চালু আছে।
আলবেনিয়ায় ধর্ম
সরকারিভাবে আলবেনিয়ার জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। তবে সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকের দেয়া তথ্য মতে, দেশটিতে ৭০ শতাংশ জনগণ মুসলমান, ২০ শতাংশ আলবেনীয় সনাতনপন্থী খ্রিস্টান এবং ১০ শতাংশ রোমান ক্যাথলিক মন্ডলীর খ্রিস্টান।[৭] ১১ শতকের সময়ের প্রথম যে ইতিহাস পাওয়া যায় তখন এ আলবেনিয়া পুরোটাই খ্রিস্টান অধ্যুষিত ছিল। কিন্তু পরে তুর্কি সাম্রাজ্যের অধীনে আসার পর দেশটিতে ধীরে ধীরে মুসলমানদের সংখ্যা খ্রিস্টানদের ছাড়িয়ে যায়। ১৯১২ সালে তুর্কি সাম্রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় দেশটিতে বিভিন্ন মতাদর্শের শাসন বিশেষ করে কমিউনিস্ট শাসন চলায় দেশটিতে সেকুলার আদর্শ অনেকর মধ্যে প্রভাব ফেলে। ফলে মুসলমান বা খ্রিস্টান থাকার পরও অনেকে সাম্যবাদী আদর্শ লালন করেন। দেশটিতে সব ধর্ম পালনেরই সমান স্বাধীনতা রয়েছে। দেশটির পুরো অংশতেই মুসলমানদের ব্যাপক বিচরণ থাকলেও রোমান ক্যাথলিকরা তাদের জন্য দেশটির উত্তরাঞ্চল এবং সনাতনপন্থী খ্রিস্টানরা নিজেদের জন্য দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে বেছে নিয়েছে।
আলবেনিয়ায় শিক্ষা
আলবেনিয়া তুর্কি সাম্রাজ্যের অধীনে থাকার সময় দেশটিতে শিক্ষার হার ছিল ৮৫ শতাংশ। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়টুকুতে দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এ দেশের শাসকরা আবার দেশটির শিক্ষার হার বাড়াতে ব্যাপকাকারে উদ্যোগ নেন। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ১২ থেকে ৪০ বয়সসীমার মধ্যে থাকা সবাইকেই শিক্ষিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এর ফলাফল হিসেবে দেশটিতে বর্তমান শিক্ষার হার ৯৮.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষদের শিক্ষার হার ৯৯.২ শতাংশ এবং নারীদের শিক্ষার হার ৯৮.৩ শতাংশ। দেশটির প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে তিরানার ইউনিভার্সিটি অব আলবেনিয়া। ১৯৫৭ সালের অক্টোবরে এটি যাত্রা শুরু করে।
আলবেনিয়ায় সংস্কৃতি
আলবেনিয়ার স্বকীয় সংস্কৃতি কালান্তরে গ্রিক, রোমান, বাইজেন্টীয়, তুর্কি, স্লাভীয় ও ইতালীয় সংস্কৃতি থেকে বহু উপাদান ধার করেছে। ঐসব দেশ ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে বলকান অঞ্চল শাসন করত। এসব ভিন্ন ভিন্ন বৈদেশিক প্রভাব সত্ত্বেও আলবেনীয় সংস্কৃতি বেশ সমসত্ত্ব। ঐতিহ্যবাহী পোশাকের মধ্যে আছে রঙিন, সূচির কারুকাজময় শার্ট ও মহিলাদের পোশাক। কোন কোন অঞ্চলে মহিলারা ঢিলেঢালা প্যান্ট পরেন। সাম্যবাদী শাসনের সময় এইসব ঐতিহ্যবাহী পোশাকের পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় কারখানায় নির্মিত কমদামী, আধুনিক পোশাক পরাকে উৎসাহিত করা হয়। গণতন্ত্রের আগমনের পর থেকে লোকজন এসব ব্যাপারে আরও বেশি পছন্দ করার সুযোগ পেয়েছে। এখনও গ্রামাঞ্চলে ও উচ্চভূমি অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী পোশাকের চল দেখা যায়, বিশেষত মহিলাদের মধ্যে।
আলবেনিয়ার ভৌগোলিক অবস্থান
আলবেনিয়ার এক-তৃতীয়াংশের বেশি অংশজুড়ে আছে বনাঞ্চল। আর এর আয়তন হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার।[৭] এই পুরো অংশটিই বেশ ঘন বনে আচ্ছাদিত। আলবেনিয়ায় তিন হাজারের অধিক প্রজাতির গাছ পাওয়া গেছে। এগুলোর অনেকগুলোই ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। মধ্যসাগরীয় শান্ত জলবায়ুই এখানে বিরাজ করে থাকে। আলবেনিয়ার শীতকালটি তুলনামূলক উষ্ণ এবং রৌদ্রময়। আর গ্রীষ্মকাল সাধারণত অধিকতর শুষ্ক থাকে। যদিও অন্যান্য অংশের আবহাওয়া ঋতুর ওপর নির্ভর করে কিন্তু দেশটির এক হাজার ৫০০ মিটার ওপরের এলাকাগুলোতে শীতকালসহ বেশির ভাগ সময়েই তীব্র শীত অণুভূত হয়, অবিরাম তুষারপাতও দেখা যায় সেখানে। দেশের নিম্নাঞ্চল ও নদী তীরবর্র্তী এলাকাগুলোতে দুপুরে তাপমাত্রা অনেক বেড়ে গেলেও রাতে সবসময়ই শীতল
একনজরে আলবেনিয়া
ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি
· ৩%-৬% গ্রিক
· ২% অন্যান্য (আরোমানিয়, ম্যাসিডোনীয় ইত্যাদি)
Peoples News
© 2020 - samatalbd.com প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | Design samatalbd